বিশ্বকাপের আগে ওয়ানডে ফরম্যাটে পাকিস্তান ছিল অন্যতম ফেভারিট। বাবর আজমদের নেতৃত্বে দলটি দারুণ ছন্দে ছিল। ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও ছিল শীর্ষে। তবে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর পাকিস্তানের সেই উড়ন্ত পাখি যেন মরা মাছে পরিণত হয়েছে। এখন তারা বাদ পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান খেলেছে পাঁচটি ম্যাচ। এর মধ্যে দুটিতে জয়, তিনটিতে হার। পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা। বাকি চারটি ম্যাচে জিততে না পারলে তারা বাদ পড়তে পারে।
বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের দলটি ছিল বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। ব্যাটিং, বোলিং সব ক্ষেত্রেই ছিল শক্তিশালী। তবে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হারের পর দলের মনোবল ভেঙে পড়েছে। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা নেই। বোলিংয়েও চোখে পড়ার মতো পারফরম্যান্স নেই। পাকিস্তানের বাদ পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে কারণ দলের সামনের ম্যাচগুলো বেশ কঠিন। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে হবে। পাকিস্তান যদি বাদ পড়ে তাহলে এটি হবে তাদের জন্য বড় ধাক্কা। দলটি ২০১৯ সালের বিশ্বকাপেও শেষ চারে উঠতে পারেনি।
টানা চার হারে এই মুহূর্তে বাজে সময় পার করছে পাকিস্তান। সবশেষ গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১ উইকেটে হেরে যান বাবর আজমরা। ৬ ম্যাচ থেকে এখন তাদের সংগ্রহ মোটে ২ পয়েন্ট। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যেতে পারে তারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয় তাদের ঠেলে দেবে খাদের কিনারে।
পরের ৩ ম্যাচ জিতলে ১০ পয়েন্টে পৌঁছে যাবেন বাবরেরা। তবে শুধু সেই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হবে না পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ম্যাচ বাকি বাংলাদেশ (৩১ অক্টোবর), নিউজিল্যান্ড (৪ নভেম্বর) এবং ইংল্যান্ডের (১১ নভেম্বর) বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে নিউজিল্যান্ড আছে। কিউইদের পয়েন্ট ৮ । আর চতুর্থ স্থানে পাকিস্তানের বাকি প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। তাদের পয়েন্ট ৬। লঙ্কানদের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও রানরেটে তারা এগিয়ে।
এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া আর দুই ম্যাচ জিতলে বা শ্রীলঙ্কা যদি তিন ম্যাচ জেতে তবে পাকিস্তানের বাদ পড়ার শঙ্কাই বেশি। রানরেটে পিছিয়ে থাকার কারণে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে যাবে তারা। আবার বাংলাদেশ যদি নিজেদের চার ম্যাচের সবকটিতে জয় পায়, তবে সেটাও হবে পাকিস্তানের ভয়ের কারণ।
সেমিফাইনালে যেতে তাই পাকিস্তানকে কেবল নিজেদের ম্যাচে জিতলেই হবে না, অস্ট্রেলিয়া এবং শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি বাংলাদেশও যেন ১০ পয়েন্ট না পায়, সেই প্রার্থনা করতে হবে।