লতি বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচ হেরার পর নিজেদের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের আশায় ছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটের ব্যবধানে হারতে হয়েছে তাদের। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ৪৬.০৪ ওভারে ২৭০ রান তুলে অলআউট হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমেও মাঝে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাবরাইজ শামসির অনবদ্য ইনিংসে জয়ের পথে এগোতে থাকে তারা। শেষ ওভারে ১১ বলে জয়ের জন্য ১২ রান দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। শেষ বলে শামসির শটটি ছিল আউটের জন্য, কিন্তু আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান তিনি। আর তাতেই জয় নিশ্চিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার।
এই হারের ফলে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ স্বপ্ন প্রায় শেষ হয়ে গেল। এখন তাদের বাকি তিন ম্যাচ জিততে হবে এবং অন্য দলগুলোর ফলাফলেও নির্ভর করতে হবে।
ম্যাচ শেষে বাবর আজম বলেছিলেন, আম্পায়ার্স কল খেলার অংশ, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি (আম্পায়ার) আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেত। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়ে গেছে, সেটা খেলারই অংশ।’
তবে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার হরভজন সিং মনে করেন আম্পায়ারের ভুল ও ডিআরএসের ‘আম্পায়ার্স কল’ আইনের জন্য পাকিস্তান হেরেছে ।
শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ শেষে ১ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। হারিস রউফের শেষ ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়াদের ১১তম ব্যাটার তাব্রাইজ শামসির পায়ে লাগে বল। মাঠের আম্পায়ার নট আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেয় পাকিস্তান। কিন্তু ডিআরসের হক আই প্রযুক্তিতে ‘আম্পায়ার্স কল’ আসে সিদ্ধান্ত। বেঁচে যান শামসি। সেই সুযোগে টিকে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওভার পর আসে জয়টাও।
ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে হরভজন বলেন, ‘বাজে আম্পায়ারিং ও বাজে আইনের জন্য ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। আইসিসির নিয়ম পরিবর্তন করা উচিত। বল স্টাম্পে লাগলে আউট, সেটা আম্পায়ার আউট দিক বা না দিক। সেটা না করলে প্রযুক্তি রাখারই দরকার কী?’
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যেতে পারে
এলবিডব্লিউয়ের আবেদনের সময় ডিআরএসের পক্ষ থেকে হক-আই প্রযুক্তির মাধ্যমে বলের গতিবিধি প্রেডিক্ট বা অনুমান করা হয়। তখন বল স্টাম্পের বাইরের অংশে লাগলে তাকে ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখানো হয়। অর্থাৎ, মাঠের আম্পায়ার যে রায় দিয়েছেন, আউট বা নট আউট, সেই রায়ই বহাল থাকবে।