বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে আলু আমদানিতে ছাড় দিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে আলুর চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু উৎপাদন না হওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাজারে আলুর সরবরাহ বৃদ্ধি ও দাম স্থিতিশীল রাখতে আমদানিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আগ্রহী আমদানিকারকদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। আবেদনপত্রের সঙ্গে আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র গ্রহণের পর আমদানিকারকদেরকে আমদানি অনুমতি দেওয়া হবে। আমদানিতে ছাড় দেওয়ার ফলে বাজারে আলুর সরবরাহ বাড়বে এবং দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত তিন দিনে আলু কেজিপ্রতি অন্তত ১০ টাকা বেড়ে যাওয়ার পর সরকার বহুল ব্যবহৃত এই পণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নিল। প্রায় দেড় মাস আগে সরকার ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিলেও দেশে এখনো ডিম আমদানি হয়নি।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয়। এর কোনোটির দামই বাজারে কার্যকর হয়নি। প্রায় প্রতি মাসেই বেঁধে দেওয়া হয় ভোজ্যতেল ও চিনির দাম, যদিও এসব পণ্য বাজারে তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়।
সরকার খুচরা বাজারে আলুর দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। সেই আলু এখন বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও আলুর দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে ছিল। বিক্রেতারা প্রথম আলোকে বলেছেন, আলুর সরবরাহ সংকট রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য সবজির দাম বাড়তি থাকার কারণে আলুর চাহিদা বেড়েছে। সে কারণেও দাম বেড়েছে বলে মনে করেন অনেক বিক্রেতা।
সরকার গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথমে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়। পরে পর্যায়ক্রমে মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দেশে ডিম আমদানি হয়নি। ডিমের দামও কমেনি।
আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে, শিগগিরই ডিম আসবে, যদিও শেষ পর্যন্ত একটি ডিমও দেশে আসেনি।