, , ,

মুজিব কিল্লা নির্মাণ প্রকল্পে হরিলুট

বিশেষ প্রতিনিধি

বিশেষ প্রতিনিধি

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ২:৫৩ অপরাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়িত “মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প টি ২০১৮ সালে অনুমোদিত হয়। দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫৫০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ডিপিপি অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ৬ (ছয়) বছর অতিবাহিত হওয়ার পর প্রকল্প নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে ২০২২ সালে ডিসেম্বর মাসে ১০০টি প্রকল্প কমিয়ে ৪৫০টি প্রকল্প সংশোধিত ডিপিপি পাশ করেন।

সংশোধিত ডিপিপি অনুমোদনের প্রায় ১ (এক) বছর অতিবাহিত হলেও প্রকল্পের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, প্রকল্পে নিয়োজিত কয়েকজন প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের অযোগ্যতা ও দুর্নীতির মূল অন্তরায় বলে মনে করেন ঠিকাদার। এরমধ্যে সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম ও তার গং মিলে পুরো প্রকল্পটি গিলে ফেলেছন এবং নিজেরা বানিয়েছেন শতকোটি টাকা।

২০১৮ সাল থেকে অধিদপ্তরটির মুজিবকেল্লা প্রকল্প শুরুর সময় থেকে সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম কর্মরত রয়েছেন দীর্ঘ সাত বছর ধরে। প্রথম শ্রেনীর পিআইও এর পদে পদোন্নতি হলেও সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে দিয়ে তদবির করে একই পদে কর্মরত আছেন এখনো। মো. আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগে তাকে অপসার ও দুর্নীতির বিষয় তদন্তের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করেন মো. আর এম সোহেল নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে বাঁচাতে তাকে স্বপদে রেখেই লোক দেখানো একটি তদন্ত কমিটি করে। তার টাকার কাছে হার মানে সবকিছু।

অভিযোগে জানা গেছে, প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম অনিয়ম ও দূনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। ঢাকা শহরে রয়েছে একাধিক বাড়ি ও ফ্লাট। এরমধ্যে রাজধানীর মগবাজার দিলুরোডে ডমিনো এ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে বিলাসবহুল ফ্লাট। নামে বেনামে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকার কাজ। অর্থের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।

মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট রেইট কোড বিক্রয় ও পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, অগ্রিম টাকার বিনিময়ে রেইট কোড বিক্রয় এবং শতভাগ কাজ পাইয়ে দেয়ার গ্যারান্টি দিতেন আনোয়ারুল ইসলাম। মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রতিটি টেন্ডারে ইজিপি মাধ্যমে রেইট কোড ফাঁস করে ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ সত্য হয়। পদে দীর্ঘদিন থাকার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, কতৃপক্ষ চেয়েছে বলেই সে ওই পদে এখনো আছি।

আরও পড়ুন