ঋণ প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক নাটোর শাখা ব্যাবস্থাপকের বিরুদ্ধে। শাখা ব্যবস্থাপক মো: হাফিজুর রহমানের অনিয়ম দুর্নীতি আর ঋণ গ্রহণে হয়রানিতে অতিষ্ঠ নাটোরের একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
গ্রাহকদের অভিযোগ, যথাযথ দলিলাদি না থাকার পরও ঋণ দেয়ার একাধিক নজির রয়েছে । অথচ ঘুষ না দেওয়ায় বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও ঋণ পাচ্ছেন না প্রকৃত ব্যবসায়ীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক নাটোর শাখা ব্যাবস্থাপক মো: হাফিজুর রহমান এই শাখায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য শুরু করেন। বৈধ কাগজপত্র থাকলেও ঘুষ না দিলে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক গ্রাহক ওই ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়ে অন্য ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
ব্যবস্থাপকের হয়রানি অব্যাহত থাকায় ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহিতা ও আবেদনকারী অনেক গ্রাহক ব্যাংকটির উর্দ্ধতন বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।
বৈধ কাগজ পত্র থাকার পরও বিগত ছয়মাস ধরে চেষ্টা করেও ঋণ পাননি নাটোর শহরের ব্যবসায়ী শওকত আলী। ব্যবস্থাপকের হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে চলতি মাসে অন্য ব্যাংকে ঋণ নিয়েছে তিনি।
তিনি বলেন, তিন হাজার সেটের ব্রয়লার খামার এবং প্রশিক্ষণ সনদ থাকা সত্ত্বেও ঘুষের টাকা না দেওয়ায় ঋণ পাননি তিনি।
শওকত আলী বলেন, ‘আমার ২৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৪ গণ্ডা জমি এবং ১২ কানি জমির দলিল জমা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ২ লাখ টাকা ঋণ পাইনি। অথচ আমার সামনেই ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে একাধিক গ্রাহককে ঋণ দিয়েছেন তিনি। ’
ব্যবস্থাপকের দাবি অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় উপযুক্ত দলিল থাকার পরও ঋণ পাননি বলে অভিযোগ তার।
ঘুষ কম তাই কমলো ঋণ:
এই প্রতিবেবেদককে হয়রানি, ঘুষ গ্রহণ ও স্ট্যাম্পের অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ দেন হেফাজুর রহমান।
বৈধ কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও তিন মাস আবেদন ফরম দেয়নি উল্লেখ করে বলেন, ব্যাংকের একটি বৈঠকে উপস্থিত ৬জনের দুপুরের খাবারের বিল পরিশোধ করতে বলেন মো: হাফিজুর রহমান। এরপর তার কাছ থেকে আরো ২ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করা হয়। দাবিকৃত ঘুষ দিতে না পারলে ঋণ কম দেবার হুমকি দেন।
অভিযোগের বিষয়ে মো: হাফিজুর রহমানকে একধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।