অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আলিঙ্গনের ঘটনায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন কবি, দার্শনিক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার। তার মতে, এটা (জড়িয়ে ধরা) বাংলাদেশের জনগণকে ‘অপমান করা’।
কেন এই ঘটনাটি পছন্দ হয়নি, এই ব্যাখ্যায় মজহার বলেন, “উনাকে (বাইডেন) আমেরিকাতে বলা হয়, ‘জেনোসাইড জো’। আপনারা জানেন এগুলো কেউ? উনি (বাইডেন) গণহত্যাকারী। একটা লোক যার কাছে প্যালেস্টাইনের জনগণের রক্ত লেগে আছে। আপনি যদি ডিপ্লোমেসি করতে যাইতেন, আপনি হাত মিলাইতে পারতেন অসুবিধা নাই, আমরা দুর্বল দেশ।
“কিন্তু আপনি (ইউনূস) তারে বুকে জড়াই ধরলেন রে ভাই। এক ‘খুনি’কে। সারা দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ ‘খুনি’, তাকে আপনি বুকে জড়াই ধরছেন। তাহলে এই যে একটা লোককে মনেপ্রাণে চেয়েছি, সেই লোকটা গিয়ে জড়াই ধরল একটা লোককে, যেই লোকটা কিন্তু ‘খুনি’, যার আপাদমস্তক প্যালেস্টাইনের বাচ্চাদের খুনে রঞ্জিত।”
শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে ‘চট্টগ্রাম বন্দরের বাস্তবতা ও সংস্কার’ শীর্ষক এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন ফরহাদ মজহার, যিনি ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন শুরুর পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করে আসছিলেন।
ইউনূস ও বাইডেনের আলিঙ্গন নিয়ে তিনি বলেন, “বাইডেন সাহেব কিন্তু শূন্য, জিরো, উনার কোনো মূল্য নাই। আসল লোক কমলা হ্যারিস। উনি (বাইডেন) ইলেকশনও করতে পারেন নাই কিন্তু। উনি প্রায় কথাও বলতে পারেন না।”
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে উদ্দেশ করে ফরহাদ মজহার বলেন, “সরকার প্রধানের উচিত ছিল নিজের এলাকা চট্টগ্রামে এসে সাধারণ মানুষসহ সবার সাথে কথা বলা।”
আয়োজক ইংরেজি দৈনিক দ্যা পিপলস ভিউয়ের নির্বাহী সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বন্দরের সাবেক সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম, চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার তারেক হাসান, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন, ‘বঞ্চিত ব্যবসায়ী ফোরাম’ এর আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম।