নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নামের মধ্যে নৌকা শব্দটি থাকায় এ মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাজ বন্দর মন্ত্রণালয় করার প্রস্তাব করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। দেশের সকলের মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার রাজধানীর রমনায় বিআইআইএসএস মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের সংলাপে তিনি এ কথা জানান। নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, নৌকা থাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাজ বন্দর মন্ত্রণালয় করার প্রস্তাব করা হবে। আমি নৌকা চালাই না, জাহাজ চালাই।
তিনি সংলাপে বলেন, আমাদের অবশ্যই নাগরিকদের রক্ষা করতে হবে। সব নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা আপনাদেরও (রাজনৈতিক দলগুলোর) দায়িত্ব। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তিনি বলেন, হাসিনা যদি আরও তিন-চার দিন টিকতেন, আপনি আমাকে তার আয়নাঘরে (গোপন কক্ষে) দেখতে পেতেন।
রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রক্রিয়ায় অর্ন্তর্বতী সরকারকে সহায়তা করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় সময় চেয়ে বলেন, আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সমর্থন প্রয়োজন। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিচার করতে হবে। এখানে আপনাদের উপস্থাপিত প্রতিটি পয়েন্ট আমি নোট করেছি। এগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাব।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার প্রসঙ্গে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি মনে করি অভিযুক্তদের ফিরিয়ে আনার দরকার নেই। তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার করা উচিত। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো। হত্যার সব প্রমাণ আছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ বিষয়ে ক্যাবিনেটে বিস্তারিত কথা হবে বলেও জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।