আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি নাটোর শাখার ম্যানেজার মো. হাফিজুর রহমান ব্যাংকের টাকায় পার্সোনাল ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। তার ব্যবসার পার্টনার নাটোরের বিভিন্ন ঠিকাদার ও ব্যাবসায়ী।
নাটোর শাখা ম্যানেজার ব্যাংকের টাকা ব্যাবসায়ী ও ঠিকাদারদের শতকরা ১০ ভাগ কমিশন এর মাধ্যমে লোন দিয়ে থাকেন বলে নাটোরে সবার মধ্যে আলোচনা সমালোচনা চলছে। ব্যাংকের টাকায় পার্সোনাল ব্যবসা তিনি অল্প সময়ের মধ্যে জমিয়ে তুলেছেন।
ব্যাংকের মহিলা এক কর্মকর্তার সাথে ম্যানেজারের শালি- দুলাভাইয়ের সম্পর্কের কথা সবার মুখে মুখে । এসব অনিয়মের পরও ম্যানেজার মো. হাফিজুর রহমান নাকি বলে বেড়ান, আমাকে এখান থেকে সরায় এমন সাধ্য কার?
আবির চৌধুরী নামের একজন বহিরাগতের সাথেও ম্যানেজারের পার্টনার ব্যবসা ছিল, কিন্ত ম্যানেজারের আওতার বাইরে যাওয়ায় তাকেও বের করে দেয়া হয়েছে। ম্যানেজারের এসব অপকর্মের যোগানদাতা আরেকজন বহিরাগত। আলম নামের এই বহিরাগত দীর্ঘদিন যাবত ব্যাংকের এই শাখায় অবস্থান করে ম্যানেজারের ফুটফরমায়েসের নামে সব অপকর্মের যোগানদাতা হিসেবে কাজ করছে।
গ্রাহকরা অভিযোগ করে বলেন, এই ম্যানেজার আমাদের বৈধ চেক ভাংগাতে গেলেও নানা অজুহাতে হয়রানি করে থাকেন। হিসাব বন্ধ করারও হুমকি দিয়ে থাকেন। ম্যানেজার ঠিকাদারদের কার্যাদেশের ওপর লোন দিয়ে শতকরা ১০ টাকা হিসাবে কমিশন বাণিজ্য করে থাকেন বলেও অভিযোগ করেন ঠিকাদাররা।
একাধিক গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই শাখায় যথাসময়ে ট্রানজেকশন শুরু হয় না। ম্যানেজার তার ইচ্ছামাফিক সময়ে অফিসে আসেন।
অফিসে এসে তিনি ব্যাংকের কাজ ফেলে গাল-গল্পে মেতে ওঠেন। যখন খুশি তখন ম্যানেজার পাশের হোটেলে বসে ,শাখার নিচে চায়ের দোকানে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন। অনেকটা স্বেচ্ছাচারভাবেই তিনি ব্যাংকের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কারন তিনি তো ম্যানেজার , তার ওপরে এই শাখায় কথা বলার কেউ নেই, তিনি তো হুকুমদাতা।
এ ভাবেই ব্যাংকের এই শাখাকে তিনি ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। যখন খুশি অফিসে আসেন আবার যখন খুশি চলে যান। এতে ব্যাংকের কাজে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে, গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে গত বৃহস্পতিবার তার অফিসে গিয়ে না পেয়ে কথা বলা সম্ভব হয়নি।