শিশুরা যদি পর্যাপ্ত না ঘুমায় তাহলে নানান অসুখে ভোগে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং দ্রুত বেড়ে ওঠে না। তাই ছোটদের ৯-১০ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তবে অনেক শিশুই ঘুমাতে চায় না।
আবার প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম ঘুমায়। এতে তারা বেশিরভাগ সময় ঠান্ডা-কাশি-জ্বর-হজমে সমস্যাসহ নানান অসুখে ভোগে। তাই ছোট্ট সোনামণিকে যেভাবেই হোক পর্যাপ্ত সময় ঘুম পাড়াতে হবে।
এখন হয়তো ভাবছেন কীভাবে? ভালো ঘুমের জন্য সন্তানকে নিয়মিত কিছু খাবার খাওয়ান। সেসব খাবারে থাকা বিভিন্ন উপাদান সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন ক্ষরণে সাহায্য করে। আর এ কারণেই দ্রুত ঘুম চলে আসে।
ভালো ঘুমের জন্য সন্তানকে যেসব খাবার খাওয়াবেন
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভরপুর বিটা ক্যারোটিন। বিটা ক্যারোটিন চোখের জ্যোতি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এতে থাকা খনিজ ও ভিটামিনের গুণে শরীর শান্ত হয়। পেশি যখন শান্ত হয়, তখন এমনিতেই ঘুম চলে আসে। তাই বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
কলা
শিশুরা কলা খেতে ভালোবাসে। আর তাদের এই ভালোবাসার ফলটিকেই খাওয়াতে হবে। কলায় আছে এমন কিছু উপাদান যা সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন ক্ষরণে সাহায্য করে। আর এতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসে। শুধু তাই নয়, এতে আছে বেশ কিছু খনিজ উপাদান, যা পেশি শান্ত রাখে। তাই আজ থেকেই সন্তানকে ঘুমের আগে একটি করে কলা খাওয়ান।
মাছ
কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। আর আপনার সন্তানকেও ছোট থেকেই মাছে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। মাছে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। প্রোটিন পেশির জোর বাড়াবে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডসহ অন্যান্য খনিজ ও ভিটামিনের গুণে দ্রুত ঘুম চলে আসে।
ওটস
আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই ওটসে অভ্যস্ত করে তুলুন। ওটস খেলে শিশুর শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়বে। যার ফলে শুয়ে পড়লেই তার চোখে ঘুম চলে আসবে। ওটস ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এনার্জি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
এত কিছু করার পরও যদি সন্তানের ঘুম ঠিকঠাক না হয়, তাহলে তাকে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।