অফিসে বসেই মদ পান করতেন সাবেক একুশে টেলিভিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সিইও এবং পরিচালক রবিউল হাসান অভি। একুশে টেলিভিশনের নিজের রুমে তিনি নিয়মিত মদ্যপানের আসর বসাতেন বলে প্রচলিত আছে। এ নিয়ে একুশে টেলিভিশন কর্মকর্তাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ-অসন্তোষও ছিল।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ‘শৈবাল, দিপু , রাশেদ চৌধুরী , মুশফিকা, সুজাত ’ নামে একটি গ্রুপ মিলে তার রুমে এই মদের প্রমোদতরি নির্মাণ করেন রবিউল হাসান অভি ।
তার মাতা বেবি মওদুদ ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বান্ধবী। মায়ের পরিচয়ে প্রতিবন্ধী কোঠায় বাগিয়ে নিয়েছেন একুশে টেলিভিশনের পরিচালক পদ । মায়ের ক্লোজ বান্ধবী ও প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন ছিলেন।
রবিউল হাসান অভি একজন মাদকসেবী। তিনি নিয়মিত ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করতেন। চলাচল করতেন বিভিন্ন মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের নিয়ে। কলেজজীবন থেকেই তিনি নিয়মিত গাঁজা সেবন করেন।
একুশে টিভির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অতিরিক্ত মাদক সেবনে অসুস্থ হওয়ায় তার স্ত্রী জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের একজন খ্যাতিমান অধ্যাপকের কাছে চিকিৎসাসেবার জন্য নিয়ে যেতেন। তিনি অতিরিক্ত মাদক সেবনে অসুস্থ হয়ে হার্ড এট্যাক করেছিলেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকরা রিং পরিয়ে তাকে ৩ মাসের রিহ্যাবিলিটেশনের পরামর্শও দিয়েছেন।
রবিউল হাসান অভির মায়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী হওয়ায় সরাসরি যোগাযোগ থাকায় এস আলম গ্রুপ মালিক হওয়া সত্ত্বেও অভির কথা ভয়ে বলতে পারতেন না। আর মাদকের টাকা জোগাড় করতে নিজের ইচ্ছামতো বিভিন্ন সংবাদ অনুষ্ঠান নাটক প্রচার করেছেন । আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে যে কজন টিভি মালিক শত শত কোটি টাকা ভাগিয়ে নিয়েছেন তার মধ্যে রবিউল হাসান অভি অন্যতম।
(চলবে…..)