২৭শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৫১

আন্তর্জাতিক

জাকারবার্গের সফলতার গল্প

মার্ক জাকারবার্গের সফলতার গল্প

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। মাত্র ২০ বছর বয়সে ফেসবুক তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। তার এই সফলতার স্বপ্ন বুনেছিলেন ছোট থেকেই।

মার্ক জাকারবার্গের জন্ম-পরিচয়

১৯৮৪ সালের ১৪ মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন শহরে জন্ম নেন মার্ক জাকারবার্গ। তার মা ছিলেন মনোচিকিৎসক আর বাবা ছিলেন দন্তচিকিৎসক।

মার্ক জাকারবার্গের লেখাপড়া
ছোট থেকেই প্রযুক্তি আর সাহিত্যতে বেশ আগ্রহী ছিলেন জাকারবার্গ। আর্ডসেলি হাই স্কুলে গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। অসি ক্রীড়া তারকাও ছিলেন মার্ক।

কলেজে পড়াকালে তিনি মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিত ছিলেন।

পরে ক্লাসিক সাহিত্যে বিশেষ ডিপ্লোমাও অর্জন করেছিলেন। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি মার্ক। বরাবরই ঝোঁক ছিল কম্পিউটারের প্রতি। সেই ঝোঁক থেকেই বিশ্বের অন্যতম নামকরা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ডে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্সে। সেখানেও তিনি অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে একজন ভালো ছাত্র হিসেবে নয়, একজন প্রোগ্রামার হিসেবে।

তার কাছে যে কোনো সফটওয়্যার তৈরি ছিল যেন বাঁ হাতের খেলা।

প্রোগ্রামিংয়ে তার আগ্রহ ছিল স্কুলজীবন থেকেই। মার্কের বয়স যখন প্রায় ১২ বছর, তখন তিনি অ্যাটারি বেসিক ব্যবহার করে মেসেজিং প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। মার্ক যার নাম দিয়েছিলেন ‘জুকনেট’। যা দিয়ে পরিবারের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের জন্যেও ব্যবহার করতেন।

মার্কের কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ দেখে তার বাবা-মা একজন ব্যক্তিগত কম্পিউটার শিক্ষক রাখেন। ডেভিড নিউমা নামের সেই শিক্ষক বাড়িতে এসে সপ্তাহে এক দিন মার্ককে কম্পিউটার শেখাতেন। মার্ক তার উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে থাকতে একটি এমপি থ্রি মিডিয়া প্লেয়ারও তৈরি করেছিলেন।
জাকারবার্গের পরিবার
জাকারবার্গের স্ত্রীর নাম প্রিসিলা চ্যান। ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জাকারবার্গের প্রথম সন্তান মাক্সিমা চ্যান জাকারবার্গের জন্ম হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে জন্ম হয় দ্বিতীয় সন্তানের। তার নাম রাখা হয় আগস্ট। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জাকারবার্গ তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন।

মার্ক জাকারবার্গ যেভাবে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর জাকারবার্গ ফেসম্যাশ ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর ওই সাইটের জন্য নিজের কলেজের ডেটাবেজও হ্যাক করেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে এই সাইট বন্ধ করতে বাধ্য হন জাকারবার্গ।

মূলত ওই ফেসম্যাশ ওয়েবসাইট থেকেই ফেসবুকের চিন্তা মাথায় আসে জাকারবার্গের। এরপর ২০০৪ সালে তার রুমমেট ও কম্পিউটারবিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজেসের সাহায্য নিয়ে ফেসবুক নির্মাণ করেন।

মার্ক জাকারবার্গ যখন ‘দ্য ফেসবুক’ নামে নতুন সাইটটি চালু করেন তার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী এতে রেজিস্ট্রেশন করেন। প্রথমদিকে এটি শুধু হার্ভার্ড কলেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও দুই মাসের মাথায় আরও এটি বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।
ফেসবুকের বর্তমান অবস্থা
এখন সারা বিশ্বে সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি। যারা মাসে একবার হলেও ফেসবুকে ঢুঁ মারেন। মার্ক জাকারবার্গ এখন মেটার মালিক। যার আওতায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরও বেশকিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সবটির মালিকই ৩৮ বছর বয়সী জাকারবার্গ। এক সময় বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় উপরের দিকে থাকলেও এখন তার অবস্থান ১৬তম। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ছাত্রদল বিএনপির অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল

বিজয়নগরে বিএনপির অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী চতুর্থ দফার ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিনে আজ রোববার (১২ নভেম্বর) রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এদিন দুপুর ১২টার দিকে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি পর্যন্ত এই মিছিল হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল।

এ ছাড়া মিছিলে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মারুফ এলাহী রনি, শ্যামল মালুম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিক রহমান, শাহজাহান শাওন, সহসাধারণ সম্পাদাক কাজী সামসুল হুদা সুজন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শামসুল হুদা, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শরীফ প্রধান শুভ, ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদিকা মানসুরা আলম, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব সজিব রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান মামুন, আমান উল্লাহ আমান, নূর আলম ভূঁইয়া ইমন, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সহসভাপতি আলমগীর হোসেন আলম, পল্লীকবি জসিমউদদীন হল ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবিদুল ইসলাম খান, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) তানভীর বারী হামীম, কর্মী সিফাত ইবনে আমিন, তিতুমীর কলেজ শাখার সহসভাপতি সালেহ আহমেদ বাপ্পি, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুল ইসলাম, সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন বিশাল, সহসম্পাদক স্বাধীন আহমেদ, আক্কাসুুর রহমান আঁখি, তিতুমীর কলেজ শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, ঢাকা কলেজের সহসভাপতি সাহাবুদ্দিন ইমন, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস, হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিম খান, সদস্য ইসতিয়াক ইমন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হাসান নাঈম, সহসাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরে মাওলা সিজান চৌধুরী, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইবনে আলী, ইনডিপেনডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমরান হোসেন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা মো. রবিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সজিব, শহীদুল, মহানগর উত্তর ছাত্রদলের হাতিরঝিল থানার যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল, বাড্ডা থানার যুগ্ম আহ্বায়ক ইসমাইল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ব্যালট ছাড়া ইসির সব প্রস্তুতিই শেষ

ব্যালট ছাড়া ইসির সব প্রস্তুতিই শেষ

বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অনড় আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবিতে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল ও জোটের বিপরীতমুখী এমন অবস্থানের মধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন শুধু তপশিল ও ব্যালটের অপেক্ষা। এর আগে রেওয়াজ অনুযায়ী আগামী ৯ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করবে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

জানা গেছে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার আগে এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণের মধ্য দিয়ে ভোটের তপশিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এরই মধ্যে তপশিল ও ভোটের প্রায় সব প্রস্তুতিই সেরে নিয়েছে কমিশন। শুধু ব্যালট ছাপানোই এখন বাকি রয়েছে, যাকে ভোটের সর্বশেষ ধাপ বলা হয়ে থাকে। এটি সাধারণত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমার পরই ছাপানো হয়ে থাকে। সর্বশেষ গত শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে ডেকে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। ৪৪টি দলের মধ্যে ইসির ডাকে সারা দেয় ২৬টি দল।

জাতীয় নির্বাচন আয়োজনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় বৈঠক, মতবিনিময়, কর্মশালাসহ নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা। গতকাল সোমবারও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কক্ষে অনানুষ্ঠানিক সভা করে কমিশন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইসি সচিবালয়ের

কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের। বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) প্রথম দফার প্রশিক্ষণ এরই মধ্যে শেষ। আগামী শুক্র ও শনিবার হবে দ্বিতীয় দফার প্রশিক্ষণ। নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র কেনাকাটার কাজও শেষ। ব্যালট বাক্সসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে। এরই মধ্যে ঢাকা বিভাগের সব জেলায় পুলিশি নিরাপত্তায় এসব পাঠানো হয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ক্ষণগননাও শুরু হয়ে গেছে। তপশিল ঘোষণার জন্য ইসির হাতে খুব বেশি সময় বাকি নেই। এ অবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে এখনো কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভাবনা দেখা না গেলেও শেষ পর্যন্ত সংবিধানের পথেই হাঁটবে আউয়াল কমিশন। সেক্ষেত্রে কোনো দল নির্বাচনে না এলেও তাদের কোনো কিছু করার থাকবে না। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা মিলিয়ে ১০-১২ লাখের মতো জনবল বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।

সিইসিসহ অন্য কমিশনাররা এরই মধ্যে তাদের সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। সর্বশেষ গত শনিবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বর্তমান পরিস্থিতি নির্বাচনের সম্পূর্ণ অনুকূল না হলেও কিছু করার নেই বলে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন সিইসি। বলেন, চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কমিশনের সামর্থ্য ও ম্যান্ডেট কোনোটাই কমিশনের নেই। দলগুলোকেই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংকট সমাধানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। নির্বাচনের পরিস্থিতি সব সময় শতভাগ অনুকূলে থাকে না। তবু সাংবিধানিক দায়িত্ব ও শপথের কারণে কমিশনকে ভোটের আয়োজন করতে হবে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী বছরের জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। সেটি নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

ইসি ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর সংস্কারও হয়েছে। যদিও এতে ইসির ক্ষমতা বাড়া বা কমা নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংসদীয় আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার ১০টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছে। নতুন দলের নিবন্ধন এবং নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের নিরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ১০৩টি আর ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১৪টি। তবে ভোট-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ আরও কিছু কাজ চলমান রয়েছে। তপশিল ঘোষণার পর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা, আসন অনুযায়ী ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ঠিক করার কাজ চলছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে পর্যবেক্ষক নিবন্ধনের প্রাথমিক ধাপ শেষ। দ্বিতীয় ধাপে আরও কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। চূড়ান্ত হয়েছে বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালাও। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহে মোটরসাইকেলের অনুমতি দিয়ে সাংবাদিক নীতিমালাও সংশোধন করা হয়েছে।

সাধারণত নির্বাচনী কাজের জন্য প্রায় ১১ ধরনের সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে ব্যালট পেপার, স্ট্যাম্প প্যাড, লাল গালা, মনোনয়ন ফরম, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাশ সিল, অমোচনীয় কালির কলম, গানি ব্যাগ, হেসিয়ান ব্যাগ (বড়), হেসিয়ান ব্যাগ (ছোট) ও স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের লক রয়েছে। এরই মধ্যে ব্যালট বাক্স, বাক্সের ঢাকনা, বিভিন্ন ধরনের সিল, কালি ও ব্যাগ কেনার কাজ হয়ে গেছে। এবার ব্যালট বাক্স ও ঢাকনা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই কিনেছে ইসি। ১ লাখ ৬১ হাজার রিম বা ৩২ লাখ ২০ হাজার দিস্তা কাগজ কেনা হয়েছে। এসব কাগজ দিয়ে তৈরি হবে ব্যালট পেপার, বিভিন্ন ধরনের খাম ও প্যাড। নির্বাচনের জন্য মোট ৮০ হাজার ব্যালট বাক্স কেনা হয়েছে যা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। আর তপশিল ঘোষণার পর ব্যালট পেপারের কাগজ সংগ্রহ ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর হবে মুদ্রণের কাজ।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সম্প্রতি সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। সেখানে নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাবও তুলে ধরা হয়। এবার প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এবং পোলিং কর্মকর্তাদের দুই দিনের সম্মানী ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে নির্বাচনে এক দিনের ভাতা দেওয়া হতো। পাশাপাশি জ্বালানি খরচও এবার বাড়বে। নির্বাচনী দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা। নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা, নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের ভাতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভাতা মিলিয়ে এবার প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর বাইরে নির্বাচনী প্রশিক্ষণে খরচ হবে ১০০ কোটি টাকার বেশি। যদিও প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন মোট ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্রে থাকেন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। ভোটকেন্দ্রের বাইরে থাকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডের মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলে মোট খরচ আরও বাড়বে। সশস্ত্র বাহিনীকে সাধারণত মোতায়েন করা হয় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। তবে এবার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সেজন্য এ খাতে ব্যয়ও এখন পর্যন্ত ধরা হয়নি।

এবার প্রার্থীদের মনোয়নপত্র দাখিলে বাধাদান ঠেকাতে অনলাইনে জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে ই-ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে জামানতের টাকাও পরিশোধের সুযোগও থাকছে। ভোটকেন্দ্রের নাম ও ভোটার নম্বর খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি কমাতে ‘বাংলাদেশ ইলেকশন অ্যাপ’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করছে কমিশন। এই অ্যাপে ভোটারের তথ্যের পাশাপাশি রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ডিসি, এসপি, ওসিসহ নির্বাচনের দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাদের পরিচয়, ফোন নম্বর থাকবে।

ভোটের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সম্প্রতি কালবেলাকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ এবং সেটি সন্তোষজনক।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ। ভোটের এক সপ্তাহ আগ পর্যন্ত ১০ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া মাঠ প্রশাসনকেও প্রশিক্ষণের আওতায় এনেছে ইটিআই। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। শুক্র ও শনিবার বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হবে।

নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টাতেও আসেনি মালিক-শ্রমিক পক্ষ

নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টাতেও আসেনি মালিক-শ্রমিক পক্ষ

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের ন্যূনতমজুরির নির্ধারণে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের ষষ্ঠ সভা আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টা পর্যন্ত বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সদস্যরা উপস্থিত হননি।

এ ছাড়া বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত আছেন। রাস্তায় যানজটের কারণে তাদের আসতে বিলম্ব হচ্ছে বলে কালবেলাকে তারা জানিয়েছেন।

আজকের সভায় মালিকপক্ষ তাদের পূর্ব প্রস্তাবিত ১০ হাজার ৪০০ টাকা পরিবর্তে নতুন মজুরি প্রস্তাব দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে নতুন প্রস্তাবে মালিক পক্ষ কত টাকা বাড়াবে সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য জানা যায়নি।

নিম্নতমজুরি বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, আজকের সভায় মালিক পক্ষের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে আলোচনা শুরু হবে। আলোচনায় সব পক্ষ একমত হলে বিষয়টি গেজেটে আকারে প্রকাশ করার জন্য সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হবে। পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে তা সুনানিরর মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয় পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের সিদ্ধান্ত সঙ্গে একমত হলে চূড়ান্ত গ্যাজেট প্রকাশ করবে। যা পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কার্যকর হবে।

রাজধানীতে বাসে আগুন

রাজধানীতে মধ্যরাতে বাসে আগুন

রাজধানীর ডেমরায় আসমানি পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছেন দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৬ নভেম্বর) রাত ২টার দিকে হাজীনগর পুরাতন ৫তলা ভবনের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আগুন লেগে বাসের বেশ কয়েকটি সিট পুড়ে গেছে। তবে ঘটনাস্থলের পাশে একটি অভ্যন্তরীণ পানি নিষ্কাশন খাল থাকায় বাসটিতে আগুন লাগার পরপরই চালকসহ পথচারীরা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়।

খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ পুড়ে যাওয়া ওই বাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এবং কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ডেমরা থানার ওসি (তদন্ত) মো. ফারুক মোল্লা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপি—জামায়াতের দুষ্কৃতকারীরা বাসে আগুন দিয়েছে। তাদের এ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বাস কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযোগ্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ পোশাক শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে

আজ পোশাক শ্রমিকদের মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম অনেক পুরোনো। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। যাদের সুঁই-সুতায় টুকরো কাপড় জোড়া লেগে তৈরি পোশাকের অর্থনীতি আজ সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা পেরিয়েছে, তারাই আজ আন্দোলন করছেন যৌক্তিক মজুরির দাবিতে। নিয়মানুযায়ী ৫ বছর পরপর শ্রমিকদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে নিম্নতম মজুরি বোর্ড গঠন করে আসছে সরকার। ২০১৮ সালের পর চলতি বছর সপ্তমবারের মতো এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় আগামী ৫ বছরের জন্য তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য মজুরি চূড়ান্ত হতে পারে। তবে নিম্নতম মজুরি ঠিক কত টাকা নির্ধারণ করা হবে, সে বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও

মালিকপক্ষ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকার প্রস্তাব দিতে পারে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তাই এবার ন্যূনতম মজুরি কত শতাংশ বাড়ানো বা কত হবে, সে দিকে তাকিয়ে আছেন ৪০ লাখ শ্রমিক ও তাদের পরিবারের আনুমানিকক ৫ কোটি সদস্য।

নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা কালবেলাকে বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির লক্ষ্যেই মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মালিক-শ্রমিক মতপার্থক্য সব সময় ছিল। এখনো আছে। সেজন্য আমরা সব পক্ষকে বোর্ডে রেখেছি। আশা করছি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে পৌঁছতে পারব, যা পরে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।

জানা গেছে, দেশের পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। তাদের দাবি, মালিক পক্ষের ১০ হাজার ৪০০ টাকার মজুরির প্রস্তাব বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য নয়। তারা ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে আন্দোলন করছেন। যদিও মজুরি বোর্ডে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি ২০ হাজার ৯৯৩ টাকা মজুরি প্রস্তাব করেছেন, যা মানতে চাচ্ছে না মালিক পক্ষ। তবে আগের প্রস্তাব থেকে সরে এসে মজুরি বাড়াতে রাজি হলেও ঠিক কতটা বাড়ানো হবে, তা বোর্ড সভায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।

অন্যদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, শ্রমিক, মালিক ও সরকার প্রতিনিধি মজুরি বোর্ডে বসে গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে হবে। সে ক্ষেত্রে মতপার্থক্য থাকলে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা বিভাগের প্রধান খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শ্রমিকদের যে দাবি সেটি তাদের সমস্যা হিসেবে না দেখে বরং মালিক পক্ষের প্রস্তাবনার দুর্বলতা হিসেবে দেখা প্রয়োজন। মালিক পক্ষের প্রস্তাব যদি ডলার (মার্কিন) হিসাবে দেখা হয়, তাহলে ২০১৮ সালে ৮ হাজার টাকা। তখন ডলারের দাম ছিল ৮৪ টাকা। সেই সময়ে ৮ হাজার টাকায় ৯৪ ডলার হতো। এখন ১০ হাজার ৪০০ টাকা যদি মজুরি হয়—১১০ টাকা ডলার হিসাবে মজুরি দাঁড়ায় ৯৫ ডলার। অর্থাৎ মালিক পক্ষের প্রস্তাবে মাত্র ১ ডলার বেড়েছে। সুতরাং এ ধরনের প্রস্তাব কোনো ধরনের মূল্য বহন করে না। সেজন্য মালিক পক্ষকে একটি যৌক্তি প্রস্তাবনা দিতে হবে। যাতে সেটির ওপরে আলাপ-আলোচনা হয়। আর যদি সমস্যার সমাধান না হয়, সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গেলেও যেতে পারে।

নিম্নতম মজুরি বোর্ড ও নিম্নতম মজুরি কাঠামো: ১৯৮৬ সালের পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ছিল ৬২৭ টাকা। ১৯৯৪ সালে তা ৪৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়িয়ে ৯৩০ টাকা করা হয়। এরপর ২০০৬ সালে ৭৮ দশমিক ৭১ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৬২ টাকা, ২০১০ সালে ৮০ দশমিক ৫১ শতাংশ বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা, ২০১৩ সালে ৭৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ হাজার ৩০০ টাকা এবং ২০১৮ সালে ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়।

Scroll to Top