আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে তারা গণশত্রু

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগ নেবে ইতিহাস তাদের গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে বলে মত প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে হাসনাত এমন মন্তব্য করেন।

হাসনাত লিখেন, ‘ছেলেদের রক্তের ওপর পা রেখে দিল্লিকে কেবলা বানিয়ে ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জনগণের মুক্তির নিয়তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য যারা উদ্যোগ নেবে ইতিহাস তাদের গণশত্রু হিসেবে চিহ্নিত করবে।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লিখেন, জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে যারা ধারণ করে, যারা গণমানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে চায়, তারা ২৪ পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করার দাবি ছাড়া আওয়ামী লীগ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে আর কোনো দ্বিতীয় বক্তব্য দিতে পারে না।

 

অপরিহার্য সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ১০০ দিনের কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে এবং নির্বাচন কবে হবে-জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় না। আমরা খুব অপরিহার্য কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব।

তিনি বলেন, আমরা শুধু এই জিনিসটা চাই না, আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। আর এটা চাই না নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কেউ আবার ভুয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাক।

এটা ছাড়া আর কোনো স্বার্থ নেই। আপনারা বিশ্বাস করেন অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন তাদের অধিকাংশই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। চার বছরের কোনো কথাই বলা হয়নি।

 

 

সংবাদ

আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে তারা গণশত্রু

সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

গাজীপুরে আজও শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

গাজীপুর মহানগরীর জিরানী ও চক্রবর্তী এলাকায় ডরিন ফ্যাশন লিমিটেড ও বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করেছেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে চতুর্থ দিনের মতো এ অবরোধ করেন তারা।

এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

কারখানার শ্রমিকরা জানায়, অক্টোবরের বেতনের দাবিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সকালে কারখানার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে চন্দ্রা-নবীনগর সড়কের চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নেন।

অন্যদিকে শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে সারাব ও জিরানীসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের কারখানাও আছে। গতকাল সোমবার থেকে ডরিন ফ্যাশন কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। আজও সকাল থেকে শ্রমিকেরা জিরানী এলাকায় সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করেন।

কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকেরা সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে।’

আশপাশের এলাকায় থানা-পুলিশ ও শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র গ্রেপ্তার

ভারতে পালানোর সময় যশোরের শার্শা সীমান্তে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। সোমবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি।

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, সীমান্ত পথে ভারতে পালানোর সময় গোপন খবরের ভিত্তিতে বিজিবি শিকারপুর সীমান্ত এলাকা থেকে আসাদুর রহমান কিরণকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাকে পাচারে সহায়তাকারী পালিয়ে যান।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুর রহমান কিরণ জানান, তিনি শার্শার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য নূর নবীর মাধ্যমে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। কিরণকে যশোরের শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আসাদুর রহমান কিরণ গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছিলেন। ২০২১ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর তাকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগেও ২০১৩ সালের প্রথম সিটি নির্বাচনের পর অধ্যাপক এমএ মান্নান কারাগারে থাকাকালীন আড়াই বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।

 

 

 

কক্সবাজারে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা

কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন দ্বীপের বাসিন্দারা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা থেকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ডলফিন মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন তারা।

জানা গেছে, সেন্টমার্টিনের মানুষ পর্যটকদের টাকায় চলেন। পর্যটক যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করার সিদ্ধান্তে হুমকির মুখে পড়েছে দ্বীপটির ১০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

আন্দোলনকারী আব্দুল মালেক বলেন, পরিবেশের দোহাই দিয়ে সেন্টমার্টিনবাসীকে মেরে ফেলার ফাঁদ পাতা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে নেবে না, আমরা ততক্ষণ কক্সবাজার ছাড়বো না।

সুফিয়া নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, আমার ঘরে রান্না করার মতো কিছু নেই। তাই আজ সেন্টমার্টিন থেকে কক্সবাজারে এসে আন্দোলন করছি। আমাদের বাঁচান।

জসিম উদ্দিন শুভ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, কালো আইন দিয়ে দ্বীপবাসীর খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। হয় ভাত দেন, না হয় পর্যটক যাওয়ার সুযোগ করে দেন।

দাবি না মানলে আবারও সড়ক-রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরের দাবিতে আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ক্যাম্পাস ক্লোজডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত না আসলে আবারও সড়ক-রেলপথ অবরোধ কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কলেজের প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মতিউর রহমান জয় বলেন, আজকে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা বসবেন বলে জেনেছি। সেখানে আমাদের প্রতিনিধি দলও থাকবে।

এ বৈঠক থেকে দাবি মেনে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পেলে বুধবার বেলা ১১টা থেকে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে।

এদিকে পূর্বষোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের ‘তুমি কে আমি কে, তিতুমীর তিতুমীর’; ‘আমাদের সংগ্রাম চলছে চলবে’; ‘ক্যাম্পাসে পুলিশ কেন প্রশাসন জবাব চাই’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

এর আগে, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে এসে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই অবরোধ চলে। কিছু সময়ের জন্য উঠে গিয়ে তারা আবারও কলেজের সামনের সড়কে বসে পড়েন। রাতেই  সবধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

 

খেলা

কানপুর টেস্টে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিল ভারত। দুইদিনেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে হারাল ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টেবিলের শীর্ষ দলটি।

আজ পঞ্চম ও শেষ দিন স্বাগতিকদের মাত্র ৯৫ রানের টার্গেট দিতে সমর্থ হয় সফরকারীরা। ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭.২ ওভারেই এই রান তুলে নেয় রোহিত শর্মার দল।

আজ মঙ্গলবার ২ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ প্রথম সেশনে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায়। খুবই সহজ একটি টার্গেটের সামনে পড়ে ভারত। জশস্বী জয়সোয়াল (৫১) ও বিরাট কোহলির (২৯*) ব্যাটে ভর দিয়ে টার্গেট ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিক দল।

বৃষ্টির কারণে প্রথম দিন ৩৫ ওভারের খেলা হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতা কোনো খেলাই হয়নি। চতুর্থ দিন জমজমাট লড়াইয়ে ১৮ উইকেটের পতন হয় দুই দলের। ভারত আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ম্যাচের ফল নির্ধারণের আপ্রাণ চেষ্টা করে। লক্ষ্যপূরণ হয়েছে তাদের। পঞ্চম ও শেষ দিন এক সেশনেরও বেশি সময় হাতে রেখে তারা বিজয়ী হয়েছে।

পাঁচ দিন মিলে ৪৫০ ওভারের খেলা হওয়ার কথা। যদিও সেখানে খেলা হয়েছে মাত্র ১৭২.২ ওভারের, যা দুই দিনেরও কম! শেষ দিন ৪৫ ওভারের মতো খেলা বাকি ছিল। এই সময়ের মধ্যেই দাপট দেখিয়ে জিতল ভারত। মূলত, রোহিত শর্মারা হারালেন বৃষ্টি, সময় আর বাংলাদেশ—এই তিন প্রতিপক্ষকে।

বয়স মাত্র ৩৩। চাইলে অনায়াসেই আরও চার-পাঁচ বছর আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলে যেতে পারতেন আন্তোনিও গ্রিজম্যান; কিন্তু তা না, হঠাৎ করেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন টানা দু’বার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ফ্রান্সের এই ফুটবলার।

বিশ্বকাপের দুই ফাইনালের প্রথম বার জয় করেছিলেন, পরেরবার হেরেছেন মেসির আর্জেন্টিনার কাছে। স্পেনের ঘরোয়া লিগ লা লিগায় মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলার পর সোমবার এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন তিনি।

বিশ্বকাপের দুই ফাইনাল ছাড়াও ২০১৬ ইউরোর ফাইনাল খেলেছিলেন তিনি। যেটাতে হেরেছিলেন পর্তুগালের কাছে। এছাড়া ২০২১ সালের উয়েফা নেশন্স লিগও জিতিয়েছেন ফ্রান্সকে।

সর্বশেষ ১০ সেপ্টেম্বর উয়েফা নেশন্স লিগে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ফ্রান্সের জার্সি গায়ে খেলেছিলেন তিনি। এছাড়া সর্বশেষ ইউরো চ্যাম্পিয়শিপের সেমিফাইনালে স্পেনের কাছে যে দলটি হেরেছে, সেই দলেরও অংশ ছিলেন তিনি।

আধুনিক ফ্রান্স ফুটবল দলের অন্যতম সফল তারকা গ্রিজম্যান। ভিডিও বার্তায় জাতীয় দল, সমর্থক এবং সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এই মিডফিল্ডার।

অভিষেকের পর গত ১০ বছরে ফ্রান্সের হয়ে ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন। গোল করেছেন ৪৪টি। তবে শুধু গোলসংখ্যা দিয়ে তাকে বর্ণনা করা যাবে না। খেলা তৈরি করা এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করার জন্য সুনাম রয়েছে তার। আক্রমণ এবং রক্ষণ দুই বিভাগের প্রতিনিয়ত দলকে সাহায্য করে গেছেন।

২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনাল জেতা গ্রিজম্যানের জীবনের অন্যতম সেরা কীর্তি। ফাইনালে দলকে ট্রফি জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছিলেন। ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ হারানোর ম্যাচে গোল করেন তিনি। সেবারের বিশ্বকাপে চারটি গোল এবং চারটি অ্যাসিস্ট ছিল তার। গ্রিজম্যানের খেলা নজর কেড়েছিল সবার।

জাতীয় দলের হয়ে ২০১৪ সালে অভিষেক হয়। এরপর থেকে দিদিয়ের দেশমের দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। মূলত মাঝমাঠের আসল কান্ডারি ছিলেন গ্রিজম্যান।

ফ্রান্সকে বিদায় জানালেও ক্লাব ফুটবলে খেলা চালিয়ে যাবেন। পেশাদার জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে। মাঝে তিন বছর ছিলেন বার্সেলোনায়। আবার অ্যাটলেটিকোয় ফিরেছেন। রোববার রাতে মাদ্রিদ ডার্বিতেও খেলেছেন। ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে।

 

দুটি পরিবর্তন নিয়ে ফিল্ডিং বাংলাদেশের

টানা চার ম্যাচ হারের পর বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা বাড়ছে বাংলাদেশের। ঘুরে দাঁড়াতে এবার ডাচদের সামনে মরিয়া সাকিবরা। শক্তিমত্তা বিবেচনায় ডাচদের চেয়ে ঢের এগিয়ে টাইগাররা। তবে তাদের সাম্প্রতিক ফর্ম চিন্তার বড় কারণ। একই সঙ্গে বাড়তি চাপও আছে সাকিবের দলের। আসরে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। তবে টসে হেরে ফিল্ডিং করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের একাদশে এসেছে দুই পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ। নাসুমের জায়গায় নেয়া হয়েছে শেখ মেহেদি হাসানকে। ডানহাতি স্পিনের সঙ্গে ব্যাটটাও চালাতে পারেন তিনি। তাই ব্যাটিংয়ে বাড়তি বিকল্প পাচ্ছে দল। পেস বিভাগে হাসানের বদলি চোট কাটিয়ে দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ

নেদারল্যান্ডস একাদশ- ম্যাক্স ও’ডাউড, বিক্রমজিৎ সিং, ওয়েসলি বারেসি, কলিন অ্যাকারম্যান, স্কট এডওয়ার্ডস, বাস ডি লিডি, সাইব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট, লোগান ফন বেক, শরিজ আহমেদ, আরিয়ান দত্ত, পল ফন মিকারেন।

বাংলাদেশ একাদশ- লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম।

সাকিবকে ছোঁয়া কোহলির ইনিংসটি ‘ভারত চিরকাল মনে রাখবে’

দিল্লি ক্যাপিটালসের ‘এক্স’ হ্যান্ডল থেকে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ক্রিজে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আঙুল উঁচিয়ে কিছু একটা দেখাচ্ছেন কোহলি। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে একটি লেখা, ‘ম্যায় হুঁ না ইন্ডিয়া’—অর্থাৎ, (ভেবো না) ভারত, আমি তো আছি! ছবিটি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘ভারত এই ৯৫ চিরকাল মনে রাখবে।’

বিনোদন
মতামত

বাংলাদেশ সফরের জন্য ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট স্কোয়াডে আছেন তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ও অফ স্পিনার ডেন পিটকে রাখার পাশাপাশি ফেরানো হয়েছে সেনুরান মুতুসামিকে। এই স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণে শেষবার খেলেছিলেন গত বছরের মার্চে।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ)। বরাবরের মতো অধিনায়কের ভূমিকায় আছেন টেম্বা বাভুমা। দলে টেস্ট অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা একজনই আছেন— উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজকি। তিনি এখন পর্যন্ত আটটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

দুই অভিজ্ঞ পেসার লুঙ্গি এনগিডি ও আনরিখ নরকিয়াকে স্কোয়াডে রাখেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্রামে থাকায় নেই মার্কো ইয়ানসেন ও জেরাল্ড কোয়েটজি। বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন কাগিসো রাবাদা, নান্দ্রে বার্গার ও ডেন প্যাটারসন। আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার।

দলনেতা বাভুমার পাশাপাশি ব্যাটিং বিভাগে আছেন এইডেন মার্করাম, টনি ডি জর্জি, ডেভিড বেডিংহ্যাম ও ট্রিস্টান স্টাবস। ব্রিটজকি ছাড়াও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে ডাক পেয়েছেন রায়ান রিকেলটন ও কাইল ভেরেইনা।

এদিনই চূড়ান্ত হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে প্রোটিয়াদের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের সূচি। আগামী ২১ অক্টোবর প্রথম টেস্ট শুরু হবে ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। এরপর ২৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গড়াবে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রায় তিন সপ্তাহের সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা দল বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে আগামী ১৬ অক্টোবর। সিরিজ শেষে তারা দেশে ফিরে যাবে ৩ অক্টোবর।

সবশেষ ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল প্রোটিয়ারা। সেবার খেলা হয়েছিল তিন সংস্করণেই। দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল সফরকারীরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে টাইগাররা পেয়েছিল ২-১ ব্যবধানে ঐতিহাসিক জয়ের স্বাদ। এরপর দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র হয়েছিল মূলত বৃষ্টির কারণে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত মোট ১৪ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। তাদের অর্জন কেবল বিরূপ আবহাওয়ার কল্যাণে পাওয়া ওই দুটি ড্র। বাকি সব টেস্টেই হেরেছে তারা।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশ আছে পাঁচ নম্বরে। সাত ম্যাচ খেলে তিন জয় ও চার হারে তাদের অর্জন ৩৩ পয়েন্ট। টাইগারদের ঠিক পেছনে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা ছয় ম্যাচ খেলে দুই জয়, তিন হার ও এক ড্রয়ে পেয়েছে ২৮ পয়েন্ট।

দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট স্কোয়াড: টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহ্যাম, ম্যাথু ব্রিটজকি, নান্দ্রে বার্গার, টনি ডি জর্জি, কেশব মহারাজ, এইডেন মার্করাম, ভিয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুতুসামি, ডেন প্যাটারসন, ডেন পিট, কাগিসো রাবাদা, ট্রিস্টান স্টাবস, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইনা।

প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ
জাকারবার্গের সফলতার গল্প

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। এর প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ। মাত্র ২০ বছর বয়সে ফেসবুক তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিলেন তিনি। তার এই সফলতার স্বপ্ন বুনেছিলেন ছোট থেকেই।

মার্ক জাকারবার্গের জন্ম-পরিচয়

১৯৮৪ সালের ১৪ মে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন শহরে জন্ম নেন মার্ক জাকারবার্গ। তার মা ছিলেন মনোচিকিৎসক আর বাবা ছিলেন দন্তচিকিৎসক।

মার্ক জাকারবার্গের লেখাপড়া
ছোট থেকেই প্রযুক্তি আর সাহিত্যতে বেশ আগ্রহী ছিলেন জাকারবার্গ। আর্ডসেলি হাই স্কুলে গ্রিক এবং ল্যাটিন ভাষায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। পাশাপাশি বিজ্ঞান এবং ক্লাসিক্যাল শিক্ষায় পুরস্কৃত হন। অসি ক্রীড়া তারকাও ছিলেন মার্ক।

কলেজে পড়াকালে তিনি মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিত ছিলেন।

পরে ক্লাসিক সাহিত্যে বিশেষ ডিপ্লোমাও অর্জন করেছিলেন। তবে সেখানেই থেমে থাকেননি মার্ক। বরাবরই ঝোঁক ছিল কম্পিউটারের প্রতি। সেই ঝোঁক থেকেই বিশ্বের অন্যতম নামকরা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ডে ভর্তি হন কম্পিউটার সায়েন্সে। সেখানেও তিনি অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তবে একজন ভালো ছাত্র হিসেবে নয়, একজন প্রোগ্রামার হিসেবে।

তার কাছে যে কোনো সফটওয়্যার তৈরি ছিল যেন বাঁ হাতের খেলা।

প্রোগ্রামিংয়ে তার আগ্রহ ছিল স্কুলজীবন থেকেই। মার্কের বয়স যখন প্রায় ১২ বছর, তখন তিনি অ্যাটারি বেসিক ব্যবহার করে মেসেজিং প্রোগ্রাম তৈরি করেছিলেন। মার্ক যার নাম দিয়েছিলেন ‘জুকনেট’। যা দিয়ে পরিবারের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের জন্যেও ব্যবহার করতেন।

মার্কের কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ দেখে তার বাবা-মা একজন ব্যক্তিগত কম্পিউটার শিক্ষক রাখেন। ডেভিড নিউমা নামের সেই শিক্ষক বাড়িতে এসে সপ্তাহে এক দিন মার্ককে কম্পিউটার শেখাতেন। মার্ক তার উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে থাকতে একটি এমপি থ্রি মিডিয়া প্লেয়ারও তৈরি করেছিলেন।
জাকারবার্গের পরিবার
জাকারবার্গের স্ত্রীর নাম প্রিসিলা চ্যান। ২০১২ সালে তাদের বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে জাকারবার্গের প্রথম সন্তান মাক্সিমা চ্যান জাকারবার্গের জন্ম হয়। ২০১৭ সালের আগস্টে জন্ম হয় দ্বিতীয় সন্তানের। তার নাম রাখা হয় আগস্ট। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে জাকারবার্গ তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন।

মার্ক জাকারবার্গ যেভাবে ফেসবুক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন
২০০৩ সালের ২৮ অক্টোবর জাকারবার্গ ফেসম্যাশ ডটকম নামে একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর ওই সাইটের জন্য নিজের কলেজের ডেটাবেজও হ্যাক করেছিলেন তিনি। পরে অবশ্য কলেজের শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে এই সাইট বন্ধ করতে বাধ্য হন জাকারবার্গ।

মূলত ওই ফেসম্যাশ ওয়েবসাইট থেকেই ফেসবুকের চিন্তা মাথায় আসে জাকারবার্গের। এরপর ২০০৪ সালে তার রুমমেট ও কম্পিউটারবিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজেসের সাহায্য নিয়ে ফেসবুক নির্মাণ করেন।

মার্ক জাকারবার্গ যখন ‘দ্য ফেসবুক’ নামে নতুন সাইটটি চালু করেন তার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী এতে রেজিস্ট্রেশন করেন। প্রথমদিকে এটি শুধু হার্ভার্ড কলেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও দুই মাসের মাথায় আরও এটি বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়।
ফেসবুকের বর্তমান অবস্থা
এখন সারা বিশ্বে সক্রিয় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি। যারা মাসে একবার হলেও ফেসবুকে ঢুঁ মারেন। মার্ক জাকারবার্গ এখন মেটার মালিক। যার আওতায় ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরও বেশকিছু প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সবটির মালিকই ৩৮ বছর বয়সী জাকারবার্গ। এক সময় বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় উপরের দিকে থাকলেও এখন তার অবস্থান ১৬তম। ফোর্বস ম্যাগাজিনের তথ্য অনুযায়ী, জাকারবার্গের মোট সম্পদের পরিমাণ ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

শিক্ষা
বাণিজ্য

একুশে টিভির ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ আহমেদ মুশফিক নাজনীন। জয়েন্ট নিউজ এডিটরের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন হেড অব নিউজের সাথে অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠতার মাধ্যমে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন – ডিইউজের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যও নাজনীন।

অথচ সাংবাদিক নেতা হওয়া সত্ত্বেও নিজ সহকর্মীদের ওপর চালিয়ে যাচ্ছেন দিনের পর দিন অমানবিক নির্যাতন। একুশে টিভির সব রিপোর্টের তার রোষানল আর ষড়যন্ত্র শিকার। এমনকি তার নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি একুশে টিভির ভবনের সামনের ডিম বিক্রেতা, চা বিক্রেতা, ভিক্ষুক, দারোয়ান সবাই। এবার নির্যাতিতরাই প্রতিবাদ করেছে এই ফ্যাসিস্ট আচরণের।

 

নির্যাতিতদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, নিউজের স্ক্রিপ্ট দেখতে সম্পুর্ণ অক্ষম এই ন্যাশন্যাল ডেস্ক ইনচার্জ। ফিল্ড রিপোর্টিং এর ন্যূনতম ধারণা না থাকায় প্রতিনিধিদের বিপদে ফেলেছেন বারবার মুশফিকা। মর্গের ভিতর থেকে লাইভ দেয়া, ৭০ কিলোমিটার দূরের ফিল্ড থেকে ফিরে আসার পর আবারো প্রতিনিধিদের ফিল্ডে যেতে নির্দেশ দিতেন তিনি। বাস্তবতার কারণে কেউ অপারগ হলেই চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি ও ফোনে খারাপ আচরণ, গালিগালাজ দেন এই আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক।

 

মুশফিকা একুশে টিভিতে ২০০৯ সালে যোগ দেয়। ২০২৪ পর্যন্ত যতবারই ম্যানেজমেন্ট চেঞ্জ হয়েছে- মুশফিকার অবস্থান আরো শক্তিশালী হয়েছে। কারণ, সাপ্লাই মাস্টার মুশফিকা অদ্ভুত এক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। আব্দুস সালাম থেকে এস আলম, বুলবুল থেকে রাশেদ চৌধুরী সবখানেই সাপ্লাই দিয়ে ম্যানেজ করেছেন এই সাংবাদিক। আর তাই সহকর্মীরা আড়ালে তার নাম দিয়েছেন সর্দারনী/ মাসী। কথিত আছে বুল্বুল তাকে নিয়ে বাথরুমের কমোড ভেঙে ফেলেছিলো।

 

আর বাথরুমের কমোড ভাঙা এই মুশফিকার বিরুদ্ধে বসদেরকে প্রেজেন্টার ও নারী রিপোর্টার সাপ্লাই দেয়ার অভিযোগ বেশ পুরাতন। এরপর নিজের সুবিধা আদায় করে নিতে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করতেও ছাড়ে না। তার অনুমতি ছাড়া ৪ আগস্ট পর্যন্ত কারো নিয়োগ হওয়া সম্ভব ছিল না৷ কোনো প্রেজেন্টার তার সুপারিশ ছাড়া প্রাইম নিউজ পড়ারও সুযোগ পেতেন না।

 

ইটিভির সাবেক হেড অব নিউজ রাশেদ চৌধুরী ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও রবিউল হাসান অভী এবং এইচ আর অ্যাডমিন হেড নাসিম হোসেনকে নারী ও নিজ বাসায় মদের আসর দিয়ে হাত করেছিলেন মুশফিকা নামের এই সাংবাদিক বলেও অভিযোগ উঠেছে। ফলে মুশফিকার কথাই ছিল একুশে টিভিতে শেষ কথা। এই আওয়ামী মুখোশ পরা সাংবাদিক প্রেজেন্টার মহিমা পলি, ফেরদৌসী প্রীতি, নার্গিস মজিদ লিমা, নিউজরুম এডিটর আফসানা নীলা, রিপোর্টার সাকেরা আরজু, শিউলী সবনমসহ বেশ কয়েকজনকে এ কাজে ব্যবহার করতো। যার ফলাফল একুশে টিভিতে সব অনুষ্ঠান বা নিউজে এদের আধিপত্য ছিল। আর পুরো নিউজ বিভাগের উপর আধিপত্য ছিল মুশফিকা নাজনীনের।

 

এছাড়া বিভিন্ন বিটের বেশ কয়েকজন রিপোর্টার তাওহীদ, আকবর সুমন, প্রনব চক্রবর্তী, মফিউরকে দিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন মুশফিকা। যার ফলে সচিবালয় থেকে শুরু করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত সবখানেই তার কাজ ম্যানেজ করতো এরা এবং একই সাথে রিপোর্টিং টিমের উপর প্রভাবও বজায় রাখতো।

 

নানা উপলক্ষে বার্তা বিভাগের জন্য যে কোনো কিছু কেনার পুরো দায়িত্ব যেকোনভাবে নিয়ে নিতো মূশফিকা। নানা অপ্রয়োজনীয় আয়োজনে নিউজরুম থেকে তো বটেই জেলা প্রতিনিধিদের কাছ থেকেও টাকা চাইতেন। সাথে বাড়তি আবদার থাকতো আম, লিচু কলা, মাছ। না পেলেই সেই প্রতিনিধির নিউজ দেয়া বন্ধ হয়ে যেত। এর জেরে বেশ কয়েক জেলার বর্ষিয়ান সাংবাদিকদের চাকরি খেয়েছে মুশফিকা। হেড অব নিউজ ও এমডির কাছে তার নামে অভিযোগ করেও কোনো ফল না পেয়ে চাকরি ছেড়েছেন অনেকে। এক জেলা প্রতিনিধি জানায়, হাঁস পার্টি করবেন তাই তার কাছে হাঁস চেয়েছেন।

২০২৩ পর্যন্ত ৭/৮ জনের বন্ধুবান্ধবদের দল নিয়ে বিভিন্ন জেলা ভ্রমণ করতেন মুশফিকা। যার আনুষঙ্গিক খরচ, থাকা-খাওয়া, জেলার ঐতিহ্যবাহী উপহার সবই জেলা প্রতিনিধিকে বহন করতে হতো। বিভিন্ন সময় তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে যেতেন সাথে নিয়ে যেতেন বিভিন্ন প্রেজেন্টার।

 

অতীতে অভিযোগ করতে ভয় পেলেও এবার দ্বিতীয়বার যোগ দেয়া চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের কাছে লিখিত ২ পাতার বিশাল অভিযোগ জানিয়েছে জেলা প্রতিনিধিরা। তারা আশা করছেন, খুব দ্রুত এই দুর্নীতিবাজ ও নির্যাতনকারী সাংবাদিকের হাত থেকে দেশের প্রথম টেরিস্টেরিয়াল চ্যানেলকে রক্ষা করবে নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি৷

নীলফামারীর সৈয়দপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তিস্তার সেচ ক্যানেলের কাজ শুরু করা হয়েছে। উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি ডাঙ্গা পাড়া এলাকা দিয়ে চলে আসা সেচ ক্যানেল সংস্কার কাজ প্রায় ১৫ দিন পুর্বে শুরু হয়। এক সপ্তাহ কাজ না হতেই ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে চলে যান। ১০ দিন থেকে জগাখিচুরী অবস্থায় পড়ে আছে সেচ ক্যানেলের সংস্কার কাজ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তার সেচ প্রকল্পের আওতায় মূল ক্যানেলের সাব ক্যানেল এসফোরডি ক্যানেল নীলফামারী সীমানা হতে সৈয়দপুর বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পর্যন্ত। এ সাব ক্যানেলটি সংস্কার ও রিপেয়ারের সাব কাজ পেয়েছেন নীলফামারীর ঠিকাদার এ এইচ এম ছাইফুল্লাহ রুবেল। কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। মুল ঠিকাদার নাকি কাজ বিক্রি করে দিয়েছেন কয়েকজের মধ্যে।

কয়েকদিন কাজ চললেও কাজের সময়, সমাপ্তিকাল, মুল্য, কত কিলোমিটার এরিয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নাম তার কোন বোর্ড লাগানো হয়নি। ক্যানেল সংস্কার কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদার এলাকার লোকজনের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে ওই ক্যানেল পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারের কোন লোকজন নেই। কেন কাজ বন্ধ, লোকজন নেই এ বিষয়ে কথা বলেন এলাকার বাসিন্দা, আবদুল হালিম।

তিনি জানান, ক্যানেলের পাশে আমার বাসা। ঠিকাদারকে কোন সময় দেখি নাই এখানে। তবে ১৫ দিন পুর্বে লোকজন সংস্কার কাজ শুরু করে। তারা মনে হয় ৭ দিন কাজ করেছে। এরপর আর কাজে আসেনি। কাজ এখন পড়ে আছে। সংস্কার কাজ করা অবস্থায় ঠিকাদের লোকজন কবরস্থান খুঁড়েছেন। ফলে কবরস্থান সেচ ক্যানেলে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এদিকে আমার বসতঘরের সাথে এমনভাবে গর্ত করেছে তাতে রান্না ঘর ও গোসল খানা ক্যানেলে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। এমন অভিযোগ করলেন এলাকার আরও কয়েকজন। তারা হলেন আবদুস সাত্তার, ওবায়দুল হক, মোঃ মহুবর রহমান, আফতাব উদ্দিন, মোখলেছার রহমান, একরামুল হক বাসন, কালাম উদ্দিন বাছাদুল ইসলাম।

তাদের অভিযোগ ঠিকাদার ক্যানেলের পাশের একোয়ার ভুক্ত মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে তুলছেন। এ সময় করা হচ্ছে গভীর গর্ত। যা দেখে মনে হল ক্যানেলের চেয়ে পাশের মাঠি খুড়া গর্তের গভীরতা চারগুন বেশি হবে। বলা চলে ওই গর্ত বিপদজনক। এত গভীরতা করে মাঠি তোলা অনিয়ম বলে দাবি করা হয়। ক্যানেলের পাশে গভীর গর্ত করে মাঠি তোলা, অন্যের জায়গা থেকে জোড় করে মাঠি কাটা, কারো কবরস্থান খুঁড়া, বসতবাড়ির পাশে গভীর গর্ত করা কাজের নিয়মের বাইরে। কেউ যদি এ ধরনের কোন কাজ করে থাকেন তা হবে নিয়ম বহির্ভুত। এমন কথা বললেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক প্রকৌশলী।

তিনি আরও জানান, প্রয়োজনে ওই ঠিকাদারকে মাটি অন্য স্থান থেকে ক্রয় করে নিয়ে আসতে হবে। কাজ গোলেমালে করতে ইতোমধ্যে ঠিকাদার ওই কাজে স্থানীয় উদ্ভট কতিপয় যুবককে নিয়োগ দিয়েছেন। সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, ওয়ার্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ঠিকাদারের ওই সকল অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে সহায়তা করছেন।

এ ব্যাপারে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আতিকুজ্জামান বলেন, কাজ করতে গিয়ে ঠিকাদার অনিয়ম করেছেন। এমন অভিযোগ করেন এলাকার কিছু লোকজন। তাদের অভিযোগ পেয়ে আমরা এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা পেলে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিফ করেননি। ফলে জানা যায়নি কাজের কোন তথ্য।

ঠিকাদার ছাইফুল্লাহ বলেন, একটু সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে। এটি কেটে গেলে কাজ শুরু করা হবে।

ব্যাংক লুট, বিশ্ববিদ্যালয় দখল, অর্থ পাচার- এর সবই করতেন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাতের ভাই চৌধুরী নাফিজ সারাফাত। পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলোচিত এই ব্যবসায়ী একটি সুবিধাভোগী চক্র তৈরি করেছিলেন বিভিন্ন খাতে। সেসকল সুবিধাভোগীদের একজন অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ডিএমডি আনোয়ারুল ইসলাম।

যিনি সম্প্রতি ব্যাংকটির নতুন এমডি পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। বিস্তর অভিযোগ কাঁধে নিয়েও কোন কৌশলে অগ্রণী ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিলেন আনোয়ারুল তা নিয়ে ব্যাংকপাড়ায় বিস্ময়ের শেষ নেই।

রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি কয়েক বছর ধরে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মে জর্জরিত। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত পদত্যাগ করেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আর্থিক খাতে দুর্নীতির দায়ে আলোচিত চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের সঙ্গে মিলেমিশে দুর্নীতি করেছেন এই আনোয়ারুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের শাসনামলে সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী নাফিস সরাফাতের লা মেরিডিয়ান হোটেল, বেস্ট হোল্ডিংসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচালক পদে ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের নতুন এমডি আনোয়ারুল ইসলাম।

তবে সরকার পতনের পর নাফিস সরাফাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আনোয়ারুলের নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নাফিস সরাফাতের অর্থ কেলেঙ্কারি ও বিভিন্ন আর্থিকপ্রতিষ্ঠান দখলের পেছনে আনোয়ারুল ইসলামের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। ব্যাংক খাতের এই সংস্কারের সময় এসেও তিনি কৌশলে এমডির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি কানাডায় বাড়ি কিনেছেন। অবৈধভাবে আয়ের ১৮ কোটি টাকা তিনি শ্যালকের নামে লেনদেনও করেছেন।

এমন অবস্থায় অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এসবের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভে নামার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের মতে, দুর্নীতিবাজ ও অনভিজ্ঞ শীর্ষ নির্বাহীদের পদে থাকতে দেওয়া হলে আগামীতে অগ্রণী ব্যাংক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে। ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) থেকে মো. আনোয়ারুল ইসলামকে অগ্রণী ব্যাংকের এমডি করা হয়েছে। তিনি সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদুল কবিরের স্থলাভিষিক্ত হলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।

ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন নিয়োগ পাওয়া অগ্রণী ব্যাংকের এমডি আনোয়ারুল ইসলামের বিরিুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে তাকে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মো. আনোয়ারুল ইসলামের মতো একজন দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন কতটুকু প্রতিষ্ঠিত হবে- তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন গ্রুপকে অর্থ পাচারে সহায়তাকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন অগ্রণী ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। আর তিনিই কিনা এই সংস্কারের সময় এমডির পদ বাগিয়ে নিলেন। তার মতো এমন দুর্নীতিগ্রস্ত এমডিকে বহাল রেখে কীভাবে ব্যাংকের সংস্কার সম্ভব?

অভিযোগ রয়েছে- ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) থাকা অবস্থায় মো. আনোয়ারুল ইসলাম কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কাজে লিপ্ত থেকেছেন। তারা বিগত সরকারের উচ্চপদস্থ সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে অবৈধ ঋণ বরাদ্দ, সন্দেহজনক পোস্টিং এবং অন্যান্য দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘন করে কর্পোরেট গ্যারান্টির ভিত্তিতে বড় ঋণ প্রদান এবং অসাধু গ্রাহকদের জাল বন্ধকের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

ব্যাংকটির বর্তমান অবস্থার জন্য এমডি ও ডিএমডির অদক্ষতাকে দুষছেন কর্মকর্তারা। সুশাসন না থাকায় এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দূরদর্শীতার অভাবের সুযোগ নিয়ে ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ব্যাংকে প্রমোশন ও বদলি বাণিজ্য করছেন- এমন অভিযোগও রয়েছে কর্মকর্তাদের।

অভিযোগ রয়েছে- মো. আনোয়ারুল ইসলাম অবৈধভাবে আয় করে কানাডায় বাড়ি কিনেছেন। তিনি অবৈধভাবে আয়ের ১৮ কোটি টাকা তার শ্যালকের নামে লেনদেন কেরেছেন। গত ৯ মাসে অবৈধভাবে আয় করেছেন অর্ধ কোটি টাকা।

চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে তিনজনকে পদোন্নতি দিয়ে অবৈধভাবে আয় করেছেন কোটি টাকা। তার বান্ধবী ফাতিমা অ্যানিকে অবৈধভাবে প্রমোশন দিয়ে বানিয়েছেন এজিএম। বিভিন্ন সময় তার অবৈধ আয় এবং নানা দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হলেও থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।

সুশাসনের অভাবে ধসে পড়ছে অগ্রণী ব্যাংকের সব সূচক। খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা, আমানত কমেছে ৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিনিয়োগ কমেছে ৩ হাজার কোটি টাকা। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ায় মূলধন ঘাটতিও বেড়েছে। এছাড়া দুই বছর আগে লাখো কোটির ক্লাবে যোগ দেওয়া অগ্রণী ব্যাংকের আমানত কমে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার কোটি টাকায়। এমনকি আমানতের অভাবে নতুনভাবে বিনিয়োগও করতে পারছে না ব্যাংকটি।

 

গণপূর্ত অধিদফতরে প্রায় চার বছর ধরে নিয়মবহির্ভূতভাবে চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মনিটরিং) মো. আশফাকুল ইসলাম বাবুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রায় এক বছর আগে তদন্ত প্রতিবেদন সচিবের কাছে জমা দিলেও প্রধান প্রকৌশলী মন্ত্রীর কাছের লোক হওয়ায় প্রভাব বিস্তার করে তদন্ত প্রতিবেদনটি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন সংস্থার কর্মকর্তারা। এ কারণে মন্ত্রণালয়ের তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণ হওয়ার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারের ১৫তম ব্যাচের মেধাতালিকার প্রথম স্থানে থাকা আশরাফুল আলমের বাড়ি বগুড়া হওয়ার কারণে প্রধান প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পাওয়ার কয়েক মাস পরেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে ছয়জনকে ডিঙিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শামীম আখতারকে।
মন্ত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্কের কারণে প্রভাব বিস্তার করে মেধাতালিকায় ৭ নম্বরে থাকার পরও প্রধান প্রকৌশলী পদে ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর চলতি দায়িত্ব পান শামীম আখতার। প্রায় চার বছর ধরে তিনি গুরুত্বপূর্ণ (গ্রেড-১) এই পদে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ছয় মাসের বেশি কাউকে চলতি দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না।
প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে ঘিরে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল আলম ও কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট টেন্ডার ও পোস্টিং বাণিজ্য করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
শামীম আখতার হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক থাকাকালীন তার পছন্দের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম বিল্ডার্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে অবৈধভাবে কার্যাদেশ দেওয়াসহ কোটি কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মনিটরিং) মো. আশফাকুল ইসলাম বাবুলকে আহ্বায়ক করে দুজন যুগ্ম সচিবকে সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি অভিযোগগুলোর মধ্যে তিনটি অভিযোগের প্রমাণ পায়। প্রায় এক বছর আগে তদন্ত প্রতিবেদন সচিবের কাছে জমা দিলেও প্রধান প্রকৌশলী তদন্ত প্রতিবেদনটি ধামাচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এইচবিআরআইয়ের গবেষণা খাতে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। গবেষণা খাতের এ টাকা থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকায় ‘অটোমেটিক ব্লক মেকিং প্লান্ট’ স্থাপন করা হয়। এ কাজও পায় কিংডম বিল্ডার্স। ঠিকাদারকে সব বিল পরিশোধ করা হলেও প্লান্টটির কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।
এ ধরনের কাজ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংস্থার অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রকৌশলীদের নিয়ে কমিটি গঠনের নিয়ম থাকলেও সে ধরনের কোনো কমিটিই হয়নি। অভিযোগের বিষয়ে শামীম আখতারের বক্তব্য, তার দাখিলকৃত কাগজপত্র এবং সংশ্লিষ্ট অফিসে রক্ষিত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ঠিকাদার কর্তৃক সব যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং কাঠামো নির্মাণ করা হলেও কার্যত এটি পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
সব মেশিনারিজ স্থাপন করার পর প্লান্টটির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য প্রাথমিকভাবে চালু করা হলে কিছু ত্রুটি দেখা দেয় এবং মানসম্পন্ন প্রোডাক্ট পাওয়া যাচ্ছিল না। নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলেও প্লান্টটি সম্পূর্ণরূপে চালু অবস্থায় বুঝে না পেয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বরাবরে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করা হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে কোনো কারিগরি কমিটি কর্তৃক বাস্তবায়ন প্রতিবেদন নেওয়া হয়নি।
সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে ফাংশনাল অবস্থায় বুঝিয়ে না দেওয়া সত্ত্বেও ওই প্রকল্পটির সম্পূর্ণ বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি। অর্থাৎ প্রকল্পটির টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম না হলেও বিল পরিশোধে নিয়মের ব্যত্যয় হয়েছে। তা ছাড়া শামীম আখতারের বদলির পর পরবর্তীতে বর্ণিত প্লান্টটির বিষয়ে কোনো কার্যক্রমই গ্রহণ করা না হওয়ায় প্লান্টটির মেশিনারিজ অকেজো হয়ে পড়ে থাকায় প্লান্টটির ক্ষতি হচ্ছে মর্মে তদন্ত কমিটির কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্লান্টের শেড নির্মাণের জন্য ৭০ লাখ টাকার কাজে কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই কিংডম বিল্ডার্সকে নিযুক্ত করা হয়। অর্ধকোটি টাকার কাজ আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অর্থি এন্টারপ্রাইজকে দেওয়া হয় যার মালিক আল আমীন ও শামীম আখতারের (পীর সাহেব) মুরিদ।
সংশ্লিষ্ট নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ই-জিপির উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৭০ লাখ টাকার প্রকল্পটির টেন্ডার করা হয়। তবে প্রকল্পটি ২০১৯ সালের হলেও নথিতে রক্ষিত চুক্তিপত্রটি ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হয়েছে মর্মে দেখা যায়।
এতে প্রতীয়মান হয় যে, চুক্তিপত্রটি যথাসময়ে স্বাক্ষর না করে পরবর্তীতে করা হয়েছে। অর্থাৎ ওই প্রকল্পটি চুক্তি স্বাক্ষর না করেই বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। তা ছাড়া অভিযোগে বর্ণিত অর্ধকোটি টাকার আরেকটি কাজের তথ্য বিশ্লেষণে মনে হয় এটি একটি পৃথক কাজ। সুতরাং অভিযোগে উল্লিখিত ৭০ লাখ টাকার প্রকল্পটির চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়মের ব্যত্যয় করা হয়েছে বলে কমিটির নিকট প্রতীয়মান হয়েছে।
চতুর্থ অভিযোগের বিবরণে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দৈনিক ২০ ঘনমিটার ব্লক উৎপাদন শুরু করার লক্ষ্যে ‘এএসি প্লান্ট’ উন্নয়নকাজে ২০১৯ সালে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২ কোটি টাকা। কাজটি করে কিংডম বিল্ডার্স, অর্থি এন্টারপ্রাইজ ও জামান বিল্ডার্স। ঠিকাদারদের সিংহভাগ বিল দেওয়া হলেও এখানেও চালু হয়নি প্লান্টটি, উল্টো কাজ শেষ করতে আরও সাড়ে ৩ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।
অভিযোগের বিষয়ে শামীম আখতারের বক্তব্য, তার দাখিলকৃত কাগজপত্র এবং সংরক্ষিত নথিপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় বিল প্রদানের ক্ষেত্রে প্রথা অনুযায়ী এমবি (মেজারমেন্ট বুক) যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয়নি। কারিগরি যন্ত্রপাতি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটির গুণগত মান নিশ্চিত না হয়েই প্রায় ৯০ শতাংশ বিল প্রদান করায় নিয়মের ব্যত্যয় করা হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়।
এ ছাড়া একই মাসে প্রায় ১ কোটি টাকার এইচবিআরআইয়ে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণের কাজ পায় তার মুরিদের প্রতিষ্ঠান কিংডম বিল্ডার্স। চুক্তির চেয়ে ঠিকাদারদের ৮ লাখ টাকা বেশি বিল দেওয়া হলেও কাজটি থেকে যে অন্যদিকে দরপত্রের আগেই অফিস সংস্কারের কাজ শুরু করে দেয় অর্থি এন্টারপ্রাইজ।
অভিযোগের বিষয়ে এইচবিআরআইর সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমানে গণপূর্ত অধিদফতরের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজে কথা না বলে অধিদফতরের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর মাধ্যমে জবাব দেন। তিনি বলেন, প্রতিটি অভিযোগের জবাব তদন্ত কমিটির কাছে প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে- অধিকাংশ অভিযোগই ভিত্তিহীন।

ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে রাজধানীর উত্তরার একটি হোটেলে চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই নারীসহ নয়জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। 

শুক্রবার (২৫ অক্টবর) উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের বেইজিং হোটেলে চাঁদাবাজি করা সময় তাদের আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান।

আটককৃতরা হলেন- সিনথিয়া কবির (২৫), সিনথিয়ার স্বামী খান মোহাম্মদ ওয়ালীদ (২৭), সিনথিয়ার ভাই রাইয়ান কবির অয়ন (২১), কাজী যুবায়ের (২২), ইরফান পায়েল (১৯), বিভাষ বড়াল (২৮), সুবর্ণা (২০), মনিরুল ইসলাম (৩০) ও মো. নিহাদ (২৪)। তারা উত্তরার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী।

আটকের পর সকালে তাদেরকে চাঁদাবাজির মামলায় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। পরে বিচারক শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

পুলিশ জানায়, একদল দুষ্কৃতিকারী  ছাত্র সমন্বয়কের পরিচয়ে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত বেইজিং হোটেলে প্রবেশ করে। হোটেলে ঢুকে হোটেলের মালিককে একটি রুমে আটকে রাখা হয়। সেই সঙ্গে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়।

এরপর গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনসহ আরও কয়েকজন পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই সময় হোটেলটির মালিককে কথিত সমন্বয়কেরা ৫ লাখ টাকার জন্য ১০ মিনিট সময় বেঁধে দেন। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ কৌশলে প্রশাসনকে জানালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ আরও জানায়, যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে কয়েকজন চাঁদাবাজ পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ সময় দুষ্কৃতিকারীদের হাতেনাতে ধরে ফেলে যৌথ বাহিনী। তাদের কাছ থেকে নগদ চাঁদাবাজির ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয় এবং বাকি টাকা পলাতক আসামিদের কাছে রয়েছে বলে জানা যায়।

আসামিদের উত্তরা পশ্চিম থানায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় চাঁদাবিজির একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে যৌথ বাহিনী।

রাজধানীর উত্তরায় ইডেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. মমতাজ শাহানারের বাসা থেকে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ৮৩ ভরি স্বর্ণ ও ১৫ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে।

একই সঙ্গে ফ্ল্যাটে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা মজুত আছে বলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে শিক্ষিকা মমতাজের কাছে আরও ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে বিষয়টি জানান ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।

এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা-পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মারুফ হাসান পল্লব (৩২) ও আব্দুল্লাহ আল মামুন সজিব (২৬)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া ১৪ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ এক লাখ টাকা, একটি পাসপোর্ট ও ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ‘গত ১৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা ৯ থেকে ১০ জন দুষ্কৃতকারী উত্তরা-পশ্চিম থানার ১২ নম্বর সেক্টরের শাহ মখদুম অ্যাভিনিউ রোডের একটি বাসার ম্যানেজারকে জিম্মি করে বাসার ৬ তলায় ড. হারুনুর রশিদ হাওলাদারের ফ্ল্যাটে বিজিএমইএ ও শান্তা মারিয়াম ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং ছাত্র সমন্বয়কের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করে।

দুস্কৃতকারীরা ফ্ল্যাটের সিসি ক্যামেরার ডিভিআর খুলে ফেলে এবং উপস্থিত ড. হারুনুর রশিদ হাওলাদারের স্ত্রী ইডেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. মমতাজ শাহানারাকে বলে তাদের ফ্ল্যাটে অবৈধ অস্ত্র ও টাকা মজুত আছে। তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কাছে ধরিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ড. মমতাজ শাহানারারের কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে কয়েকজন তার সঙ্গে কথা বলতে থাকে এবং বাকিরা তার ঘর থেকে ৮৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৫ লাখ টাকা লুট করে নেয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে দুষ্কৃতকারীরা রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে চলে যাওয়ার সময় সিসি ক্যামেরার ডিভিআরও সঙ্গে নিয়ে যায়।

জাতীয় যুব দিবসের ২০২৪ উন্মুক্ত দরপত্রে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা আরশিনগর মিডিয়া। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় যুব দিবসের অনুষ্ঠান সম্পর্কে বাজেট দেয় ৪১ লক্ষ টাকা। ২য় সর্বনিম্ন দরদাতা উইন্ডমিল, বাজেট দেয় ৪২ লক্ষ টাকা। উন্মুক্ত দরপত্রের নিয়ম অনুয়ায়ী সর্বনিম্ন বাজেট পেশকারী প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার কথা।

শর্তানুযায়ী যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে ২য় সর্বনিম্ন এভাবে ক্রমান্বয়ে কাজ পাবে অন্য দরদাতারা। কিন্তু এই দরপত্রে সরকারী নিয়ম না মেনে ৭৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বাজেট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে কাজ।

এ বিষয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গাজী মো. সাইফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কিছু বলতে নারাজ।

এখানে আরো উল্লেখ্য যে, একটা অনুষ্ঠান পরিকল্পনা দেখাতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু সেটা শেষ না হতেই বের করে দেয়া মিডিয়া প্রতিষ্ঠান গুলোকে। কারন এবার অনুুষ্ঠান পরিকল্পনায় ছিল ২০২৪ এর জুলাই আগষ্ট নিয়ে। পছন্দের লোক এবং প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়ার জন্যই অন্য দরদাতাদের মূল্যয়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ দরপত্র আহ্ববানকারীদের বিরুদ্ধে। তাই কোন নিয়মনীতি না মেনেই যোগসাজশে এখানে অনিয়ম করা হয়েছে।

 

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে মো. সুমন হোসেন (২৬) নামের পুলিশের এক কনস্টেবল। গত চার দিন ধরে তাদের কোনো খোঁজ না পাওয়া বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

ঘটনাটি গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রায়পুর গ্রামের ঘটে।

সুমন হোসেন জীবননগর থানার রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। সে যশোর সদর উপজেলার জগতনাথপুর গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে।

ওই স্কুল শিক্ষার্থীর বাবা জানান, কনস্টেবল সুমন হোসেন রায়পুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকা অবস্থায় আমার স্কুল পড়ুয়া কন্যার সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা সম্পর্ক গড়ে তোলে। সুমন হোসেনের বাড়িতে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমার মেয়ের কাছে অবিবাহিত বলে সে সম্পর্কে করে। ঘটনাটি আমরা জানতে পেরে জীবননগর থানায় অভিযোগ করি। অভিযোগের পর তাকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার জামজামি পুলিশ ফাঁড়িতে বদলি হয়।

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তাকে আবার র‌্যাবে বদলি করা হলে সে সেখানে যোগদান না করে, গত সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি আমরা গোপনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমনের বাড়িতেও তাদের কোনো খোঁজ না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই ঘটনার চার দিন পর মামলা দিতে হয়েছে।

রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা শরিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি নাবালিকা স্কুলছাত্রীর সঙ্গে হওয়ায় পারিবারিকভাবে গোপনে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেন ও স্কুল ছাত্রীর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় স্কুল ছাত্রীর বাবা সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল সুমন হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিক বার কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে ভিকটিমের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুজি করেও তাদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত মামলা দিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জীবনযাপন
সাহিত্য

আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেবে তারা গণশত্রু

সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

গাজীপুরে আজও শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

পালানোর সময় গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র গ্রেপ্তার

কক্সবাজারে কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা

দাবি না মানলে আবারও সড়ক-রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের

কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা

কিছু ব্যাংক ভালো অবস্থায় ফিরে আসছে এবং কিছু ব্যাংক খুঁড়ে খুঁড়ে চলবে, তবে কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কিছু ব্যাংক ফিরে আসছে। ইসলামী ব্যাংক বিগেস্ট ব্যাংক। এটা ভালোর দিকে যাচ্ছে। তবে কিছু ব্যাংক খুঁড়ে খুঁড়ে চলবে। আমরা কোনো ব্যাংক বন্ধ করবো না।

তিনি বলেন, বাজেটের ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি কর্মকর্তা যারা আছেন,তাদের বেতন ভাতা আটকাবে না। এডিপিতে কোন কোন প্রকল্প অপ্রয়োজনীয় এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হয়েছে,তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খানকে  নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে আসেন অর্থ উপদেষ্টা।

 

 

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন দিন : মির্জা ফখরুল

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারে যারা আছেন তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন। এসব না বলে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য বিএনপির ৩১ দফাই যথেষ্ট দাবি করে তিনি বলেন, আমরা আরও দুই বছর আগেই ৩১ দফা সংস্কারের কথা বলেছি। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আরও আগে থেকেই এই সংস্কার নিয়ে আলোচনা করেছেন।

আমরা অবশ্যই সংস্কার চাই, কিন্তু সেটা যেন অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে হয়। উপদেষ্টারা যেন মনে না করেন যে, তারাই ক্ষমতায় থেকে যাবেন। দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে নিয়ে আসাতেই মূল অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। নিজেদের স্বার্থে নয়, জাতির স্বার্থেই নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। দ্রুত নির্বাচন না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। সংখ্যালঘুদের নিয়ে, গার্মেন্টস নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। একটা নির্বাচিত সরকার থাকলে এ ষড়যন্ত্র করা যাবে না।

তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এখন সবাই দাবি জানাচ্ছে, কিন্তু এতদিন স্বৈরাচারের সামনে তো কেউ এসব দাবি জানায়নি। রাজনৈতিক সরকার না থাকায় এমন সংকট তৈরি হচ্ছে।

এ সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই না আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক। রাজনৈতিক দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফ্যাসিস্ট হয়েছিলেন শেখ হাসিনা।