আহমেদাবাদে বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণীয় ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল এটির। অথচ অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ তেমন কোনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে না! সেটির বড় একটা কারণ অবশ্যই ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স। টানা চার হারে পয়েন্ট তলানিতে থাকা দলটির বাংলাদেশের সঙ্গে জয়ের স্মৃতিও মিলিয়ে যাচ্ছে, সেমিফাইনালের সম্ভাবনাটুকু কোনোরকমে টিকে আছে খাতা-কলমে। অবশ্য আজ হেরে গেলে আনুষ্ঠানিকভাবেই বিদায় নিতে হবে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের।
অন্যদিকে প্রথম দুই ম্যাচ হারের পর টানা চারটি জেতা অস্ট্রেলিয়ার কাছে এ ম্যাচ জয়ের ধারা বজায় রেখে সেমিফাইনালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার আরেক ধাপ। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অবশ্য এরপরও বিপজ্জনকই মনে করছেন ইংলিশদের, ‘এমন সামর্থ্যের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া যেকোনো দল নিয়েই আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।’
গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও মিচেল মার্শের মতো গুরুত্বপূর্ণ দুজনকে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া। তার ওপর অস্ট্রেলিয়াকে হারালে ইংল্যান্ড যে বাড়তি তৃপ্তি পাবে, সেটিও জানেন কামিন্স, ‘এটা পুরোনো একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ফলে মিথ্যা বলা হবে না, আমাদের হারালে তাদের কাছে ব্যাপারটি অন্য যেকোনো দলকে হারানোর চেয়ে মধুর। আর তারা সাদা বলে যত ভালো খেলেছে, সেটির ইতিহাসও আছে। ফলে তাদের জন্য দারুণ একটি জয় হবে।’
কিন্তু ইংল্যান্ড যেন জিততেই ভুলে গেছে। এখন আর বিশ্বকাপে হারানোর কিছু নেই, তাদের ক্ষেত্রে অবশ্য এটিও এখন বলা যাচ্ছে না। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার সুযোগ পেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলোও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মাথা উঁচু করে বিদায় নেওয়াও, বেন স্টোকস বলেছেন সেটিই, ‘আমাদের বিশ্বকাপে বিপর্যয় ঘটেছে, এটিকে রং চড়িয়ে বলার মানে নেই, কারণ এটিই সত্য। কিন্তু আমরা জানি, শেষ তিন ম্যাচেও আমাদের অনেক কিছু পাওয়ার আছে। সবচেয়ে বড় অবশ্যই তিনটি সিংহের প্রতীক বুকে চেপে খেলার গর্বের ব্যাপারটা, যেটিকে আমরা অনেক মর্যাদা দিই।’
দুই দলের অবস্থান যেমনই হোক না কেন, ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার লড়াই মানে বাড়তি আকর্ষণ, স্টোকস মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও, ‘যেকোনো খেলাতেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া খেললে সেটি বড় উপলক্ষ। বিশ্বকাপ হোক বা দ্বিপক্ষীয় সিরিজ হোক।’