কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) দুই চিকিৎসক ও নার্স-কর্মচারীদের হাতে যমুনা টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন ও ক্যামেরাপার্সন কামরুল হাসান লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলে আশ্বাস দেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।
শনিবার (২১ অক্টোবর) কুমেক হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে এবং তার উপস্থিতিতে কুমিল্লা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালকের এক বৈঠকে ঘটনাটির সুরাহা হয়।
বৈঠকে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী প্রেসক্লাব নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ঘটনার জন্য দুই জন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এখানে ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে এর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে কুমেক হাসপাতাল পরিচালক সাংবাদিক নেতাদেরকে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ জানান।
বৈঠকে সাংবাদিক নেতাদের মধ্যে ছিলেন রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম দুলাল, মীর শাহ আলম, দিলীপ মজুমদার, সাদিক হোসেন মামুন, হুমায়ুন কবির রনি, সেলিম রেজা মুন্সী, জাহিদুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন জাকির ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের নেতারা। এ সময় লাঞ্ছনার শিকার যমুনা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন ও ভিডিও জার্নালিস্ট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) যমুনা টেলিভিশনের ওই দুই সাংবাদিক কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহকর্ত্রীর হাতে নির্যাতনের শিকার এক এতিম শিশু গৃহকর্মীর বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে গেলে আবাসিক চিকিৎসক ডা. আবু জাফর মো. সালেহী ও ডা. আবুল হাসানসহ নার্স-কর্মচারীরা তাদেরকে লাঞ্ছিত করেন।